২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো জিতেছিল স্পেন, মাঝে ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার আর্জেন্টিনার সামনে সেই ‘ট্রেবল’ জয়ের হাতছানি। প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান দল হিসেবে টানা তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে চায় আলবিসেলেস্তেরা। সফল হলে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলে রেকর্ড ১৬তম শিরোপা জেতার উৎসব করবে লিওনেল স্কালোনির দল। কিন্তু তাদের উৎসব মাটি করে দিতে চায় দুর্দান্ত পারফর্ম করা কলম্বিয়া। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে মায়ামিতে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া দারুণ ফর্মে থেকে হার্ড রক স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলবে। ২৮ ম্যাচ ধরে অজেয় মেন ইন ইয়েলো, যা জাতীয় রেকর্ড। তাদের ফাইনালে ওঠার পথ আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশ কঠিন ছিল।
আর্জেন্টিনা নিউজার্সির সেমিফাইনালে কানাডাকে ২-০ গোলে সহজে হারিয়েছে। আর উরুগুয়েতে হারাতে ঘাম ছুটেছে কলম্বিয়ার। সেমিফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধর পুরোটা তারা খেলেছে ১০ জন নিয়ে, জিতেছে ১-০ গোলে।
কাগজে কলমে বিশ্ব র্যাঙ্কিয়ের শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনা ফেভারিট। এই দল নিয়ে বহু দিন তারা একসঙ্গে খেলছে। তবে এই ফাইনাল যে একপেশে হবে না, সেটা নিশ্চিন্তে বলা যায়।
টেলিভিশন বিশ্লেষক হিসেবে কোপা আমেরিকা কাভার করা সাবেক চিলি ও ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার ইভান জামোরানো বলছেন, ‘স্কালোনি তাদের ভালোভাবে চেনে। আর্জেন্টিনার দৃঢ়তা প্রমাণিত। এছাড়া তাদের আছে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়, যা তাদের বাড়তি পাওনা। এ কারণে তারা বড় ফেভারিট।’
কলম্বিয়ার সাবেক তারকা ও মিডফিল্ডার কার্লোস ভালদেরামার বিশ্বাস, বিস্ময়কর কিছু হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি রবিবার কলম্বিয়া জিতবে। স্বপ্ন দেখার মতো দারুণ একটি দল আছে আমাদের।’
কলম্বিয়ার সেরা তারকা জেমস রদ্রিগেস, যিনি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন, তিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত ফর্মে।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার জন্য এই ম্যাচ আবেগের। বড় ম্যাচে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা দেওয়া আর্জেন্টিনার ৩৬ বছর বয়সী উইঙ্গার এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখবেন। গত কোপা আমেরিকা ফাইনালের গোলদাতা এবারও জাল খুঁজে পাবেন আশা অধিনায়ক লিওনেল মেসির।